প্রত্যয় স্পোর্টস ডেস্ক: এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ২৫ বছর আগে লীগের সেমি-ফাইনাল খেলেছিলো ক্লাবটি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে নেইমার-এমবাপেরা। কিন্তু ফাইনালে পিএসজির প্রধান খেলোয়াড় নেইমার খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। কারন নিষেধ থাকা সত্ত্বেও সেমি-ফাইনালের শেষে বদল করেছেন জার্সি।
লেইপজিগের বিপক্ষেও দুর্দান্ত খেলেছেন নেইমার। নিজে গোল করতে না পারলেও পিএসজির জয়ে তার অবদান কোনো অংশেই কম ছিল না। ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু ম্যাচের পর লেইপজিগের ফুটবলার মার্সেল হাস্টেনবার্গের সঙ্গে জার্সি বদল করেন তিনি।
ফুটবলারদের মধ্যে জার্সি বদল করা পুরনো রীতি। এটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সব কিছু পরিবর্তন করে দিয়েছে। যে কারণে ফুটবল মাঠেও আচরণবিধিতে পরিবর্তন এনেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। উয়েফার করোনাভাইরাস আইনে এখন ফুটবলারদের জার্সি বদল করা নিষিদ্ধ। কিন্তু লেইপজিগের বিপক্ষে ম্যাচের পর নেইমার সেটা বেমালুম ভুলে গেলেন। কিংবা হয়তো ইচ্ছা করেই উয়েফার নতুন করোনা আইন ভঙ করেছেন তিনি। এখন উয়েফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি এ নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পারে। যার মূল্য হিসেবে নেইমারকে ফাইনালে নিষিদ্ধও করা হতে পারে।
বৃটিশ পত্রিকা দ্য সান বলছে, ‘উয়েফার করোনা আইন বলছে, কোনো খেলোয়াড় যদি জার্সি বদলের মত অপরাধ করে থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই ১২ দিনের জন্য আইসোলেশনে চলে যেতে হবে। যদি সেটাই ঘটে, তাহলে নেইমার ২৪ আগস্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা লিওঁর বিপক্ষে খেলতে নামতে পারবেন না।’
একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢেলেছে পিএসজি। নেইমারকে তারা কিনে এনেছে ২২২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে। এমবাপেকেও প্রায় কাছাকাছি (১৮০ মিলিয়ন ইউরো) অর্থ দিয়ে কিনেছে মোনাকো থেকে। এছাড়া ডি মারিয়া, মাউরো ইকার্দি থেকে শুরু করে পুরো স্কোয়াডের পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে ফরাসি ক্লাবটি।
অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণের একেবারে দ্বারপ্রান্তে পিএসজি। কিন্তু ছোট্ট এক ভুলের কারণে নেইমার যদি ফাইনাল খেলতে না পারেন, তাহলে একেবারে তীরে এসে তরি ডোবার মত অবস্থা হতে পারে ফরাসি ক্লাবটির। হয়তো বা শিরোপাটাই অধরা থেকে যেতে পারে তাদের।